হাড়িভাঙ্গা আমের ইতিহাস

April 30, 2022 By admin 0

হাঁড়িভাঙা আমের নামকরনতেকানী ও এর আশপাশের এলাকা খিয়ারী মাটির। তা ছাড়া বরেন্দ্রপ্রবণ অঞ্চল হওয়ার কারণে লাগানো গাছে পানি দিতে হতো সব সময়। পাইকার নফল উদ্দিনও সারা দিন বিভিন্নভাবে ব্যবসায় বাণিজ্য ও কাজে কামে থাকতেন। সে কারণে ওই আমগাছটির নিচে তিনি মাটির হাঁড়ি দিয়ে ফিল্টার বানিয়ে তাতে সারা দিন পানি দিতেন। এরই মধ্যে একদিন রাতে কে বা কারা ওই মাটির হাঁড়িটি ভেঙে ফেলেন। ওই গাছে বিপুল পরিমাণ আম ধরে। সেগুলো ছিল খুবই সুস্বাদু। সেগুলো বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে গেলে লোকজন ওই আম সম্পর্কে জানতে চায়। তখন নফল উদ্দিন মানুষকে বলেন, ‘যে গাছের নিচের হাড়িটা মানুষ ভাঙছিল সেই গাছেরই আম এগুলা।’ তখন থেকেই ওই গাছটির আম ‘হাড়িভাঙ্গা আম’ নামে পরিচিতি পায়। এটি কাঁচায় ছালসহ খেলেও মিষ্টি লাগে। এখনো ইতিহাস ও কালের সাক্ষী হয়ে আমগাছটি আছে তেকানী গ্রামে। দ্রুত গাছটি বেড়ে উঠে এবং বছর তিনেকের মাথায় সেই গাছে আম ধরে। সুস্বাদু ও মিষ্টি হওয়ায় বিক্রিও হয় প্রচুর। ফলে ওই গাছ থেকে জোড়াকলম করার হিড়িক পড়ে যায়। এলাকার মানুষ ওই গাছ থেকে জোড়াকলম নিয়ে লাগাতে থাকেন। গড়ে উঠতে থাকে বাগানের পর বাগান। বর্তমানে হাঁড়িভাঙ্গা আমের এই গাছটির বয়স ৬৩ বছর।